দেরাদুন: পুরস্কারমূল্য এবং স্পনসরশিপের যা অর্থ ছিল তার সবই নিঃশেষ। জাতীয় হুইলচেয়ার ক্রিকেটার তাই এখন পাথর ভাঙছেন পেট চালানোর জন্য। হুইলচেয়ার ক্রিকেট এখনও পেশাদারিত্বের তকমা পায়নি এদেশে। তাই নিজে ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি সংসার চালানোর জন্য এমনি সময় কোচিং করিয়ে থাকেন উত্তরাখণ্ডের রাইকোটের বাসিন্দা রাজেন্দ্র সিং ধামি। কিন্তু লকডাউনের জেরে দেশজুড়ে এমনই কাজ হারিয়ে নিঃস্ব বহু। দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরার দুঃসহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছে দেশ।
এমন সময় দেশের জাতীয় হুইলচেয়ার ক্রিকেটারও উপায়ান্তর না দেখে লেগে পড়েছেন পাথর ভাঙার কাজে। বয়স্ক বাবা-মা এবং ভাইবোনেদের মুখ চেয়ে সরকারের ১০০ দিনের কাজের আওতাভুক্ত পাথর ভাঙার কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেছেন ধামি। তবে প্রতিবন্ধী এহেন দুর্দশার কথা চাপা থাকেনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই এগিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজ্য সরকার। আইওএ ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করে দুঃসময়ে ধামির পাশে দাঁড়িয়েছে। মোটা অংকের অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও।
৩৪ বছরের ধামি জানিয়েছেন, গত মার্চ মাসে তাঁর দলের কোচ হিসেবে বেঙ্গালুরু উড়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। ঠিক সে সময় অতিমারীর জেরে দেশজুড়ে ঘোষিত হয় লকডাউন। সবকিছু থমকে যায়। পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে দেখে প্রাত্যহিক ৪০০ টাকা পারিশ্রমিকে পাথর ভাঙার কাজে নিযুক্ত হন তিনি। উল্লেখ্য, মাত্র দু’বছর বয়সে ধামির শরীরের নীচের অংশ প্যারালাইসিস হয়ে যায়। কিন্তু কখনোই খেলাধূলার নেশা ছাড়তে পারেননি তিনি। প্রাথমিক পর্যায়ে জাতীয় স্তরে শটপুট চ্যাম্পিয়ন পরবর্তীতে ব্যাটে-বলে তাঁর অল-রাউন্ড পারফরম্যান্সে নজর কাড়েন। আর সেই কারণেই ক্রিকেটার হয়ে যান ধামি।
প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার জানাচ্ছেন, ‘পরিবারের জন্য দিনে দু’বেলা খাবার জোগানোর ব্যবস্থা করার জন্যই তাঁর এই পথ বেছে নেওয়া। ভিক্ষা করাটা শোভা পায় না আর পেট চালানোর জন্য সৎপথে কোনও কাজকেই আমি ছোট বলে মনে করেন না ধামি। তবে কঠিন সময় সরকারি অনুদান পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ। তাঁর মতো এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা পরিস্থিতির শিকার। তাদেরও পাশে দাঁড়াক সরকার, চাইছেন ধামি।
পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব
লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]
Source link