Most Popular Stuff

grid/recent

ঋণখেলাপের জন্য হাতছাড়া অনিল অম্বানির দফতর - Kolkata24x7 | Read Latest Bengali News, Breaking News in Bangla from West Bengal's Leading online Newspaper

0




মুম্বই: যা পরিস্থিতি তাতে ঋণ পরিশোধ না করে শিল্পপতিদের বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ানো কঠিন হবে। কারণ চাপ বাড়ছে ঋণখেলাপি শিল্পপতিদের উপর। এজন্য অনিল অম্বানির মালিকানাধীন একটি কোম্পানির মুম্বইয়ের সদর দফতর হাতছাড়া হল। দখল নিয়েছে ইয়েস ব্যাংক। ২৯৯২ কোটি টাকা ইয়েস ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এমন পদক্ষেপ করেছে বলে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।


অনিল ধীরুভাই অম্বানির গ্রুপের সংস্থা রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সদর দফতরটি দক্ষিণ মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজে অবস্থিত রিলায়েন্স সেন্টারে। এটির আয়তন প্রায় সাড়ে ২১ হাজার বর্গমিটার। এই সদর দফতরের পাশাপাশি রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার দক্ষিণ মুম্বইয়ের আরও দুটি ফ্লাটের দখল নিয়েছে ইয়েস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ওই ফ্ল্যাট দুটির আয়তন ১১১৭ বর্গফুট এবং ৪৯৩৬ বর্গফুট। এর আগে মে মাসে ঋণ পরিশোধের শর্ত মেনে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরে দু মাস কেটে যায় এবং ঋণ পরিশোধের শর্ত খেলাপ করায় সংস্থার তিনটি সম্পত্তি দখল নেওয়া হয়েছে।


কয়েকমাস আগে ইয়েস ব্যাংকের কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে। ওই ব্যাংকের আর্থিক তছরুপের তদন্তে নামা হলে তখন অনিল অম্বানির নাম নজরে আসে। ইডি সূত্রে, জানা যায় ইয়েস ব্যাংক অনিল অম্বানিরর বিভিন্ন কোম্পানিকে ১২,৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল এবং তা সুদে-আসলে বেড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ ওঠে ইয়েস ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রাক্তন সিইও রাণা কাপুর নিয়ম লঙ্ঘন করে অনিলের ডুবতে বসা সংস্থাকে ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন।



যদিও সিবিআই তদন্ত শুরু করলে অনিল অম্বানির সংস্থা দাবি করেছিল, রানা কাপুর বা তার পরিবারের সঙ্গে ওই সংস্থার কোন ও লেনদেন হয়নি। আর ইয়েস ব্যাংকের কাছ থেকে যে ঋণ নেওয়া হয়েছে তাতে বিনিময়ের শর্ত মেনে সম্পত্তি জামিন রাখা হয়েছিল। ইয়েস ব্যাংক কেলেঙ্কারি তদন্তে নেবে মার্চ মাসে ইডি অনিল অম্বানিকে ডেকে প্রায় নয় ঘন্টা জেরা করেছিল। অন্যদিকে জুন মাসে অনিল দাবি করেছিল চলতি আর্থিক বছরে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার পুরোপুরি ঋণমুক্ত হয়ে যাবে।


বর্তমান ভারতে ব্যাংক ব্যবস্থায় অনুৎপাদক সম্পদ একটা বড় সমস্যা। ঋণ নিয়ে তা সময়মতো পরিশোধ না করে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং ফের ঋণের জন্য আবেদন করে তা নিচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি আওয়াজ উঠেছে এই সব ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। আর বাণিজ্যিক সংস্থাকে দেওয়া অনাদায়ী ঋণের কারণেই আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ইয়েস ব্যাংক। তারপর ব্যাংকটিকে পুনরুজ্জীবনের জন্য হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্র। গত মার্চে ওই সমস্ত পুরনো পদাধিকারীদের সরিয়ে দিয়ে নতুন পরিচালন বোর্ড তৈরি হয়।




পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব


লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।


[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]


















Source link
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top