গুয়াহাটি : অপেক্ষার আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তারপরই শুরু হবে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। যদিও করোনা আবহে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরের পুজোয় রয়েছে বিস্তর ফারাক।
সরকারি গাইডলাইন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় সতর্কতা বিধি মেনেই চলছে শারদোৎসবের তোড়জোড়। আর এবার দুর্গা পুজো নিয়ে একগুচ্ছ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সতর্কতা বিধির নির্দেশিকা জারি করল অসম সরকার।
মঙ্গলবার একটি প্রেস কনফারেন্সে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন যে, রাজ্য সরকার দুর্গা পূজা উদযাপনে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে আয়োজকদের সরকারী নির্দেশিকাগুলি মেনে চলতে হবে। নির্দেশিকা গুলি হল, দুর্গাপুজো মণ্ডপের সবদিক খোলা রাখতে হবে৷
মন্ডপের ভিতরে ঢোকা ও বেরনোর পথ আলাদা করতে হবে। প্যান্ডেলে আরতি করা যাবে, তবে কোনওরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যাবে না। রাত ১০টার পর কোনও দর্শনার্থীকে মণ্ডপে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সব পুজো কমিটিকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও অসম সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, পুজো কমিটির সব সদস্য, পুরোহিত সহ পুজোর সঙ্গে যাঁরা সরাসরি যুক্ত থাকবেন, পঞ্চমীর দিন তাঁদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
দশমীর দিন তাঁদের ফের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। তাঁরা কেউ সংক্রমিত হয়েছেন কি না, সেটার দিকে নজর রাখতে হবে জেলা প্রশাসনকে। ঠাকুর বিসর্জনে ভিড় করা যাবে না। জনসমাগম এড়ানোর জন্য দু-তিনদিন ধরে বিসর্জনের ব্যবস্থা করতে হবে জেলা প্রশাসনকে।
পুজোর দিনগুলিতে রাত ৯টার মধ্যেই সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে হবে। সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে কেবল পরিস্কার পরিছন্ন এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পুজোর সময় পুরুষদের জন্য পিলিয়ন রাইডিংয়ের অনুমতি দেওয়া হবে না।
১৫ বছরের কম বয়সী মহিলা বা শিশুদের পুজোর দিনে পিলিয়ন রাইডিংয়ের অনুমতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
এদিকে অসমে এ পর্যন্ত মোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১,৯৯,৩০৪ টি। এর মধ্যে ১,৬৬,০৩৬ জন রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ৮২৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব
লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]
Source link