ঢাকা: ‘‘ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার মুসলিমবিদ্বেষী ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই অসমের সরকারি মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে’’। এমনই মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
বিবৃতি দিয়ে তিনি জানান, বিজেপি সরকার শুরু থেকেই ভারতকে মুসলিম শূন্য করতে কাজ করে যাচ্ছে। তার অংশ হিসেবেই তারা এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন করেছে। শত শত বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়ে তদস্থলে রামমন্দির তৈরি করছে।
তিনি জানান, মুসলমানদের ওপর হামলা, মামলা ও নিপীড়ন বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। মুসলমানদের নাগরিক ও মৌলিক মানবাধিকারে নতুন নতুন বাধা তৈরি করছে।
আল্লামা কাসেমী বলেন, মাদ্রাসা সমূহে সুস্থ সমাজ গড়ার শিক্ষা দেওয়া হয়। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকে সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ার অনুশীলন করা হয়। মনের হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে মানুষে মানুষে সম্পর্ক বৃদ্ধির শিক্ষা দেয়া হয়।
আর বিজেপি চাইছে এসব কল্যাণকর শিক্ষা বন্ধ করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে, ধর্মীয় মেরুকরণ করতে এবং মুসলমানদেরকে দাবিয়ে রাখতে।
বাংলাদেশের জমিয়ত মহাসচিব বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদি বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িকতা ও বর্ণবাদের যে ঘৃণার চর্চা শুরু করেছে, তাতে বিশ্বশান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি হবে। এতে বিপুল মুসলিম জনগোষ্ঠী দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং তাদের মনে হতাশা ও ক্ষোভ তৈরি হবে।
বিশ্ব শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে জাতিসংঘ, ওআইসি ও বিশ্বসম্প্রদায়ের কর্তব্য, হিন্দুত্ববাদিদের সাম্প্রদায়িক ঘৃণা চর্চার লাগাম টেনে ধরতে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব
লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]
Source link