কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন জলকামানের জলে করোনা ভাইরাস মেশানো ছিল৷ এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপির৷ মানবাধিকার কমিশনকে বাংলায় এসে তদন্তের দাবি করছে গেরুয়া শিবির৷
বিজেপির দাবি, নবান্ন অভিযানের দিন জলকামানের জলে করোনা ভাইরাস মেশানো ছিল৷ বিশেষ করে সাতরাগাছিতে৷ অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জ ও জলকামানে অনেকে আহত হয়েছেন৷
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নিয়ম অনুযায়ী করোনা টেস্ট করা হয়৷ তাতে দেখা যায় বেশ কয়েক জন করোনা আক্রান্ত৷ আর এর জন্য পুলিশের ব্যবহার করা জলকামানকে দায়ী করছে বিজেপি৷ পুলিশের বিরুদ্ধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগও করা হয়েছে৷
নবান্ন অভিযানের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযানের পর থেকেই অসুস্থ অনুভব করেন ওই বিজেপি নেতা। আসে জ্বরও। এরপরেই করোনার পরীক্ষা করেন জয়। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে খবর।
বাইপাসের একটি হাসপাতালে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তবে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, অসুস্থ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁর এই অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরে।তারও কোভিড পরীক্ষা করা হবে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৮ অক্টোবর মিছিলের শুরুতেই রণক্ষেত্র কলকাতার হেস্টিংস ও সাঁতরাগাছি৷ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ৷ কাঁদাতে গ্যাসের শেল ফাটানোর অভিযোগ৷ পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি৷ জলকামানের মাধ্যমে রঙিন জল ব্যবহার করা হয়৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷
হেস্টিংস মোড়ে বিজেপি মিছিল এগোতেই বাধা পুলিশের৷ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ৷ শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ৷ পাশাপাশি বোম ফাঁটানো হয়ে বলে অভিযোগ৷ অন্যদিকে হেস্টিংসে বহু বিজেপি কর্মী আহত হন৷ হেস্টিংস মোড়ে বসে পড়েন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির নেতানেত্রীরা৷
বিজেপি যে ৭ দফা দাবিতে নবান্ন অভিযান তা হল-১) এসএসসি /টেট এর দুর্নীতির বিরুদ্ধে৷ (২)স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ (৩)বেকার ভাই- বোনদের চাকরির ব্যবস্থা করতে৷ (৪)পরীক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের উর্ধ্বসীমা বাড়াতে৷(৫) পিএসসি কে দূর্নীতিমুক্ত করতে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সরলীকরণ করতে৷ (৬)ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়া বন্ধ করতে৷ (৭)বেকার যুবকদের ভাতা নয়, চাকরির দাবিতে৷
পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব
লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]
Source link