স্টাফ রিপোর্টার , কলকাতা : বাংলায় লোকাল ট্রেন এবং জেলার মধ্যে চলাচলকারী প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করার জন্য ভারতের রেল মন্ত্রী মাননীয় পীযুষ গোয়েল মহাশয় এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল বাংলাপক্ষ।
বাংলাপক্ষ জানাচ্ছে , ‘ট্রেন চালুর ক্ষেত্রে কোভিড১৯ সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বেশিভাগ কলকারখানায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। অফিসগুলিতেও কাজ হচ্ছে পুরো মাত্রায়। প্রতিনিয়ত মানুষকে নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত হতে বহুগুণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। যা এই অর্থনীতিক ভাবে খারাপ পরিস্থিতিতে প্রায় অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন ও রাজ্যের মধ্যে চলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু না থাকায় বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। দৈনন্দিন যাতায়াত বজায় রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।’
একইসঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছে, ‘লোকাল ট্রেন ও রাজ্যের ভিতরে চলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হলে প্রথমত মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা আর্থিক সুরাহা হবে। দ্বিতীয়ত অনেকটাই সময়ের সাশ্রয় ও অতিরিক্ত পরিশ্রম লাঘব হবে। তৃতীয়ত একই সঙ্গে প্রতিদিন যাতায়াত করতে যে প্রবল অসুবিধার মুখোমুখি সাধারণ মানুষকে হতে হচ্ছে তার থেকে জনগণ মুক্তি লাভ করবে। আশা করা যায় সমস্ত কর্তৃপক্ষ জনগণের এই সমস্যা উপলব্ধি করে অতি দ্রুত লোকাল ট্রেন ও রাজ্যের মধ্যে চলা প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।’
দেশে স্পেশ্যাল ট্রেন চললেও সারা দেশের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও বন্ধ লোকাল ট্রেন। তবে রেলকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্যে বিভিন্ন রুটে চালানো হচ্ছে কিছু স্পেশ্যাল লোকাল ট্রেন। কিন্তু আনলক-৫ এসে দেশের প্রায় সবকিছুই খুলে গিয়েছে। আগামীকাল ১৫ অক্টোবর থেকে রাজ্যে খুলে যাবে সিনেমা হলও। কিন্তু লোকাল ট্রেনে চালু না হওয়ায় জেলা থেকে শহরে কাজে আসা মানুষরা সমস্যায় পড়ে রয়েছেন। তাই বিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবী নিয়ে। হচ্ছে প্রতিবাদ, দেখানো হচ্ছে বিক্ষোভ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর, হুগলির খন্নান ও পাণ্ডুয়া স্টেশনে রেল অবরোধ করেন সাধারণ যাত্রীরা। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সোমবার একই চিত্র দেখে লিলুয়া স্টেশন। লিলুয়া ষ্টেশনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী, সঙ্গে র্যাফও। এই বিশাল সংখ্যক পুলিশ দেখেই বিক্ষোভকারীরা পিছু হটেন। ধীরেধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব
লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]
Source link