আগরতলা: রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শান্তনা চাকমা একটি ইঙ্গিতময় ফেসবুক পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। অভিযোগ, খোদ মন্ত্রীকেই তীব্র রোষাণলের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি ফেসবুক আপাতত বন্ধ রেখেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ঘিরে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরে ক্রমে বিতর্ক এমন আকার নিয়েছে যে বিজেপির অন্দরমহলে তীব্র শোরগোল। রাজ্যের ৩৬ জন বিজেপি বিধায়কের মধ্যে ২৬ জনই বিক্ষুব্ধ। শরিক আইপিএফটির ৮ জনই মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী লবিতে চলে গিয়েছেন।
এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে ফের শোরগোল পড়েছে। গোমতী জেলার উদয়পুর মহকুমার জামজুরিতে আদর্শ গ্রাম প্রকল্পের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাড়ি, গাড়ি, নিরাপত্তারক্ষী সব রয়েছে আমার। তবু আমার থেকে একা এই ত্রিপুরায় কেউ নন।
রাজ্যে বিজেপির অন্দরমহলে যখন খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি প্রবল, তখন এমন আবেগময় মন্তব্য করলেন বিপ্লব দেব। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী নীতি দেব ফেসবুক পোস্ট করে দেহরক্ষীদের সরিয়ে নিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকার চালানোর ক্ষেত্রে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়করা।
ইতিমধ্যেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দলনেতা সুদীপ রায় বর্মণের নেতৃত্বে দিল্লিতে গিয়েছেন অন্তত ১১ জন। সূত্রের খবর, বাকিরা আগরতলায় থেকে অনবরত বিদ্রোহের সলতে পাকাচ্ছেন। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বিহারের নির্বাচনী প্রচারে।
তিনি দিল্লি ফিরলেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বদলানোর সিদ্ধান্তে পাকা শিলমোহর পড়বে। বিদ্রোহী বিধায়কদের অভিযোগ, বিপ্লব দেব তাঁর আগোছালো মন্তব্য ও দূর্বল প্রশাসনিক কাজের জন্য বিজেপির সর্বনাশ ঘটিয়েছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পতন নিশ্চিত। সেটা সামাল দিতে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হবে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় টানা ২৫ বছরের বাম শাসন শেষ হয়। বিজেপি ও আইপিএফটি জোট ক্ষমতায় আসে। বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়কদের অভিযোগ, সরকারে আসার আড়াই বছরেই রাজ্যবাসীর কাছে প্রায় চক্ষুশূল হয়ে গিয়েছে দল।
এই অবস্থার জন্য দায়ি মুখ্যমন্ত্রীর একলা কর্তৃক ফলানো, রাজকীয় জীবনযাপন। পরিস্থিতি যে জটিল তা মেনে নিয়েছে বিরোধী সিপিআইএম ও কংগ্রেস।
আগেই বিরোধী নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেছেন রাজ্যে নিকম্নার সরকার চলছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় বামেরা ক্ষমতায় আসছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব
লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]
Source link