নয়াদিল্লি: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর ফের রাজ্যসভা ভোট৷ আগামী ৯ নভেম্বর রাজ্যসভার ১১টি আসনে হবে ভোট৷ করোনা-বিধি মেনেই ভোট করানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷
উত্তরপ্রদেশের ৯ টি আসনে এবং উত্তরাখণ্ডের একটি৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, কংগ্রেস সাংসদ রাজ বব্বরের রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে নভেম্বরে৷ সেই ফাঁকা আসন সহ মোট ১১টি আসনে হবে রাজ্যসভার ভোট৷
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, করোনা–বিধি মেনে ভোট করানো হবে৷ সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে হবে৷ ভোট দিতে ঢোকার আগে ভোটদাতাদের তাপমাত্রা মাপা হবে৷ মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক৷
তার আগে ২৮ অক্টোবর থেকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ২৪৩টি আসনে তিনটি পর্যায়ে হবে এই ভোট। ফল ঘোষণা ১০ নভেম্বর। সেখানেও করোনার জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। এজন্য খরচও বেড়েছে।
রাজ্যসভা হল ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ৷ এই সভার সদস্যসংখ্যা ২৪৫। ভারতের রাষ্ট্রপতি শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সমাজসেবার ক্ষেত্র থেকে ১২ জন সদস্যকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত করেন৷ এঁরা মনোনীত সদস্য নামে পরিচিত। অন্যান্য সদস্যরা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিধানসভা কর্তৃক নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার সাংসদদের কার্যকালের মেয়াদ ছয় বছর এবং প্রতি দুই বছর অন্তর সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ অবসর নেন।
রাজ্যসভা স্থায়ী কক্ষ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর লোকসভার অবলুপ্তি ও পুনর্নির্বাচন ঘটে। কিন্তু রাজ্যসভা ভেঙে দেওয়া যায় না। সরবরাহ-সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া অন্য সব বিষয়ে রাজ্যসভা লোকসভার সমান মর্যাদা ভোগ করে। সরবরাহ-সংক্রান্ত বিষয়ে লোকসভার ক্ষমতা রাজ্যসভার চেয়ে বেশি। কোনো বিষয় নিয়ে দুই কক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে সংসদের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে তা সমাধান করা হয়।
তবে লোকসভার আকার রাজ্যসভার প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায়, যৌথ অধিবেশনে লোকসভারই শক্তি বেশি থাকে। আজ পর্যন্ত সংসদে মাত্র তিনটি যৌথ অধিবেশন বসেছে। শেষ যৌথ অধিবেশনটি বসেছিল ২০০২ সালে সন্ত্রাস-বিরোধী আইন পোটা পাস করানোর জন্য।
পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব
লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]
Source link