নয়াদিল্লি: ইন্ডিয়া মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) প্রধান এম মহাপাত্র জানিয়ে দিলেন চলতি বছরে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে আরও ঘূর্ণিঝড়ের দেখা মেলার আশংকা রয়েছে। একই সঙ্গে শীতের মাত্রাও তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
লা নিনার পরিস্থিতির জেরেই এমনটা ঘটতে পারে। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বঙ্গোপ্সাগরের উপকূল এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়। উল্লেখ্য, লা লিনার মাধ্যমে জানা যায় গভীর বৃষ্টির বার্তা। এর ওপরে নির্ভর করেই রয়েছে আগাম ব্যাপক বৃষ্টির খবর।
জানা গিয়েছে, নিরক্ষীয় প্রশান্ত এলাকায় সমুদ্রের জলের উপরিভাগের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নীচের দিকে নামছে, যার প্রভাব দেখা যেতে পারে বায়ুমন্ডলে। লা নিনা’র জেরে অক্টোবর অর্থাৎ চলতি মাস ও নভেম্বর অর্থাৎ আগামী মাসে ভারত আরও কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের সাক্ষী হতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই আম্ফানের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়েছিল একাধিক রাজ্য। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা শোচনীয় হয়। এরপর মুম্বইতেও দেখা যায় ঝড়ের তান্ডব। আর এই মুহূর্তে ভারী বর্ষণের জেরে কাঁপছে হায়দরাবাদ। বুধবারের খবর মোতাবেক মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৩০ জনের।
অন্যদিকে এই পুজোর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে আশংকা ছড়িয়েছে। পুজো চলে এলেও এখনও পর্যন্ত সক্রিয় মৌসুমি বায়ু। ফলে সাগরে একের পর এক নিম্নচাপ হয়েই চলেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে বলেই আশঙ্কা বেশ কিছু আবহাওয়াবিদদের।
তবে বরাতক্রমে ‘গতি’-এর প্রভাব থেকে বাংলা মুক্তি পেয়েছে। তবে রক্ষা পায়নি তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, অন্ধ্র উপকূলে। এই রাজ্যগুলিতে প্রায় ৫৫-৬০ কিলোমিটার বেগে গতি আছড়ে পড়ে।
এছাড়া খুব সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এরপর সেটি শক্তিসঞ্চয় করে পুজোর মধ্যেই আঘাত হানতে পারে। যদি সেটি ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি এসেও আঘাত হানে তবে তার জেরে পুজো মাটি হবে বাঙালির।
প্রশ্ন অনেক-এর বিশেষ পর্ব 'দশভূজা'য় মুখোমুখি ঝুলন গোস্বামী।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=mlr3BU-ZBts[/embed]
Source link