শঙ্কর দাস, বালুরঘাট: সকলে অতিমারী করোনাকে নিয়েই ব্যস্ত। আর এরই সুযোগে নীরবে সংখ্যা বিস্তার করছে চলেছে হেপাটাইটিস। করোনার পাশাপাশি ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে হেপাটাইটিস-বি ও সি।
ক্যানসার ও এইচআইভি’র মতোই মারাত্মক এই রোগ। এই অসুখের পরীক্ষানিরীক্ষা ও চিকিৎসা অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ। যা বহন করা প্রায় অসম্ভব। এই অসুখে কেউ আক্রান্ত হলে বাড়িঘর বিক্রি করা ছাড়া কোন উপায় থাকেন না। শুধু খরচের দিক দিয়েই নয়। এই রোগের চিকিৎসা দীর্ঘ মেয়াদি। সুস্থ হতে চার থেকে দশ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
এইচআইভি’র মতো একই মাধ্যমে হেপাটাইটিস-বি ও সি একজনের শরীর থেকে আরেকজনের দেহে প্রবেশ করে। কারও এই অসুখ ধরা পড়লে বাইরে বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের স্মরণাপন্ন হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
তবে এবার এই প্রথম দক্ষিণ দিনাজপুরে চালু হল হেপাটাইটিস-বি ও সি’তে আক্রান্তদের চিকিৎসা। আজ বালুরঘাটে জেলা হাসপাতালে ভাইরাল-হেপাটাইটিস কেন্দ্র নামক এই চিকিৎসা কেন্দ্রের সূচনা করলেন উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুশান্ত কুমার ঘোষ। ভাইরাল-হেপাটাইটিস কেন্দ্র থেকেই বিনামূল্যে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও পরীক্ষানিরীক্ষা করা হবে।
এবিষয়ে আইএমএ’র জেলা সম্পাদক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ অভিজিৎ ভৌমিক জানিয়েছেন যে হেপাটাইটিস-বি ও সি দুটোই বিভিন্ন ভাবে মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তার মধ্যে মূলত রক্তের মাধ্যমে অথবা মায়ের থেকে সন্তানের দেহে এমনকি এইচআইভি যে যে কারণে হয়ে থাকে সেই মাধ্যমেও হয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মারাত্মক একটি রোগ যা এইচআইভি ও ক্যান্সারের থেকে কোন অংশেই কম নয়।
হেপাটাইটিস-বি’র কারণে পরবর্তীতে ক্রনিক হেপাটিস ফেলিওর। এমনকি ক্যান্সার ও লিভার কিডনি ফেইলিওরও হতে পারে।হেপাটাইটিসের পরীক্ষা ও চিকিৎসা দুইই অত্যন্ত ব্যয় বহুল ও দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ। এমতাবস্থায় দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলায় ভাইরাল হেপাটাইটিস কেন্দ্র এই রোগে আক্রান্তদের খুবই উপকারে লাগবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে জানিয়েছেন, জেলায় সরকারি ভাবে এতদিন এর কোন চিকিৎসা ছিল না। হেপাটাইটিস-বি ও সি’র রোগীদের চিকিৎসার জন্য বাইরে অথবা বেসরকারি ব্যবস্থার উপরেই নির্ভর করতে হতো। অত্যন্ত ব্যয় বহুল এই চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভাইরাল হেপাটাইটিস কেন্দ্র চালু করা হলো।
উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত(করোনা) আধিকারিক ডাঃ সুশান্ত কুমার ঘোষ এদিন জানিয়েছেন যে বিগত কয়েকমাস ধরে করোনা নিয়ে লড়াই চলছে। এই অবস্থার মধ্যে নন-কোভিড সম্পর্কিত দিকগুলিতে সেভাবে নজর দেওয়া সম্ভব হয়নি। টিকাকরণ ও হেপাটাইটিস-বি ও সি এই পরিস্থিতিতে কি অবস্থায় রয়েছে তা নিয়ে পরিসংখ্যান সংগ্রহের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি স্বীকার করেন যে হেপাটাইটিসও এই মুহূর্তে মারাত্মক ভয়ের জায়গায় রয়েছে। বালুরঘাটের মতো
ভাইরাল হেপাটাইটিস কেন্দ্র অন্যান্য জেলাগুলিতে চালু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব
লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]
Source link