কলকাতা: কয়েকদিন ধরেই হুগলি জেলা তৃণমূলে কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে সেই জেলারই বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদকে। দলের তরফে জেলা কো-অর্ডিনেটর করা হলেও তাঁদের না জানিয়েই জেলা সভাপতি একের পর এক কর্মসূচি নিচ্ছেন বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ এনেছেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
হুগলি জেলা তৃণমূলের এই অন্তর্কলহ মেটাতে এবার আসরে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কলকাতায় নিজের অফিসে তিনি ডেকে পাঠিয়েছেন হুগলি তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের। আলোচনা করেই যাবতীয় বিরোধ মেটাতে তৎপর তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব।
সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলের প্রতিটি জেলায় সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে তৃণমূল। অভিমানে দল ছেড়ে যাওয়া বা বসে যাওয়া নেতা-কর্মীদের নতুন করে দলে ফেরানোর তৎপরতা যেমন চলছে, ঠিক তেমনি বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতেও একের পর এক কর্মসূচি নিচ্ছে শাসকদল।
তবে হুগলি জেলা তৃণমূলে কয়েকদিন ধরেই নেতাদের মধ্যে কলহ প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের কাজকর্মে খুশি নন জেলা তৃণমূলেরই একাধিক নেতা।
হুগলির দুই তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বেচারাম মান্না ও আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার প্রকাশ্যে জেলা সভাপতির কাজে তাঁদের অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। দলের তরফে তিনজনকেই জেলা কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলায় দলের সব কর্মসূচিই সভাপতি ও কো-অর্ডিনেটররা বসে ঠিক করবেন, এটাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ।
তবে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপো পোদ্দারের অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়েই একের পর এক কর্মসূচি নিচ্ছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত। পুরোন কর্মীদের না নিয়ে নিজের পছন্দমতো কর্মীদের দিয়ে দলের কর্মসূচি চালাচ্ছেন। একই অভিযোগ বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বেচারাম মান্নাদের।
জেলা তৃণমূলে এই অসন্তোষের খবর পেয়েছেন দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার তাঁর নিজের অফিসে হুগলি জেলার তৃণমূল নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছেন অভিষেক। আলোচনা করেই যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটাতে তৎপর হয়েছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি।
পপ্রশ্ন অনেক: একাদশ পর্ব
লকডাউনে গৃহবন্দি শিশুরা। অভিভাবকদের জন্য টিপস দিচ্ছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=98SVIlBcikA[/embed]
Source link