মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের তদন্ত করছিল মুম্বই পুলিশ। সম্প্রতি পটনার থানায় রিয়া চক্রবর্তী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্ত এর বাবা কে কে সিং এফআইআর দায়ের করায় বিহার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।
সম্প্রতি সুশান্ত ও রিয়া বান্দ্রার যেই ফ্ল্যাটে থাকতেন সেই ফ্ল্যাটের ব্রোকারের সঙ্গে কথা বলেন সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও। সেই ব্রোকার জানিয়েছেন, বান্দ্রার ফ্ল্যাটটি পছন্দ করেছিলেন রিয়াই। তার কথা মতোই এই ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকতে শুরু করেন।
সেই ব্রোকার জানাচ্ছেন, রিয়া চক্রবর্তীই তাঁকে প্রথমে যোগাযোগ করেন। তিন কামরা বা চার কামরার ফ্ল্যাটের খোঁজ করেন রিয়া। তখন সেই ব্রোকারকে এও জানান যে খুব শীঘ্রই সুশান্তের সঙ্গে তার বিয়ে হতে চলেছে। রিয়া কোনো সোসাইটির মধ্যে ফ্ল্যাট চাননি।
অন্যদিকে সুশান্ত ছিলেন একটি অভিজাতপূর্ণ সোসাইটির মধ্যে কোনও ফ্ল্যাটে থাকবেন। ব্রোকার জানাচ্ছেন তিনি বেশ অবাক হয়েছিলেন এই দেখে যে, তারা বান্দ্রার এই ফ্ল্যাটের জন্য ৪ লক্ষ টাকা ভাড়া দিতে রাজি হলেন।
সুশান্ত আগে অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। কিন্তু সেই রাতে ভূত আছে এমন দাবি করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। সুশান্তর বাবা এফআইআর-এ অভিযোগ করেছেন, রিয়া এই গ্রুপের গুজব ছাড়িয়ে জোর করে সেই ফ্ল্যাট ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন সুশান্তকে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩৪২, ৩৮০, ৪২০, ৩০৬ এবং ১২০ (বি) ধারায় রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী সন্ধ্যা চক্রবর্তী, শ্রুতি মোদী, শৌভিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুশান্তের বাবা রিয়ার বিরুদ্ধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ এনেছেন।
তাঁর অভিযোগ, রিয়া সুশান্তকে তাঁর পরিবার থেকে দূরে করে রেখেছিলেন এবং সম্পূর্ণ নিজের অধীনে রাখতে চেয়েছিলেন। রিয়া সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও সামলাতেন। এমনকী অভিযোগ, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন রাজিব নগর থানার এক পুলিশ আধিকারিক।
এছাড়া সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে প্রশ্ন তুলেছেন, কিভাবে একজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ বলে দেয় যে এটা আত্মহত্যা।
কিভাবে ১০ মিনিটের মধ্যে বলে দেওয়া হয় সুশান্ত অবসাদে ভুগছিলেন। অঙ্কিতা মনে করেন সুশান্ত একদমই অবসাদে চলে যাওয়ার মতো মানুষ নন। তিনি খুবই হাসি খুশি এবং প্যাশনেট একজন মানুষ ছিলেন। অবসাদে চলে যাওয়ার ন্যারেটিভ তৈরি করেছে বলিউডের লবি। এমনই দাবি করেছেন অঙ্কিতা।
অঙ্কিতা বলছেন, “আমি ওকে যতটা চিনি তাতে আমি বলতে পারি ও অবসাদগ্রস্ত হওয়ার মত ছেলে নয়। আমি সুশান্ত এর মত আর কোনো ছেলে দেখিনি যে নিজের স্বপ্নগুলো লিখে রাখত। ওর একটা ডাইরি ছিল। ও লিখে রাখত ৫ বছর পরে ও নিজেকে কীভাবে দেখতে চায়। আর পাঁচ বছর পরে সেই সব কটা স্বপ্ন পূরণ করেছিল। আর এখন যখন দেখছি ওর নামের সঙ্গে ডিপ্রেসড কথাটা জুড়ে দেওয়া হচ্ছে তখন খুব খারাপ লাগছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘হয়তো ও কোনও ব্যাপার নিয়ে দুঃখে ছিল বা ভয়ে ছিল। কিন্তু ডিপ্রেশন একটা বড় শব্দ। ওকে বাইপোলার বলে ডাকা হচ্ছে! আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ও অবসাদগ্রস্ত ছিল না। ও একটা ছোট শহর থেকে এসে নিজের জায়গা তৈরি করেছিল। আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা ছিল। আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছিল। আমার অভিনয় শিখিয়েছিল। কেউ কি সত্যিই জানে ও কেমন ছিল? সবাই নিজের মতো করে যা খুশি লিখছে।”
প্রশ্ন অনেক-এর বিশেষ পর্ব 'দশভূজা'য় মুখোমুখি ঝুলন গোস্বামী।
[embed]https://www.youtube.com/watch?v=mlr3BU-ZBts[/embed]
Source link